
ড্যাফডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও হল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে শুরু হয়েছে আন্তঃহল বিতর্ক প্রতিযোগিতা। দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় সহশিক্ষা কার্যক্রম হিসেবে বিতর্ককে এগিয়ে নিতে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ড্যাফডিলের ইউনুস খান স্কলার গার্ডেন-১-এ প্রতিযোগিতা শুধু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি ছেলেদের হল ও তিনটি মেয়েদের হলে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে, যা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক জ্ঞানের পাশাপাশি যুক্তিবাদী মনোভাব ও বিশ্লেষণক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
ইউনুস খান স্কলার গার্ডেন-১-এর বিতর্ক পরিচালক দিপ্ত বিশ্বাস বলেন,"আমাদের প্রিয় ড্যাফডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও হল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে হলে হলে বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজিত হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হলো, শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞানের চর্চাকে একাডেমিকের পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমের অংশে পরিণত করা। শুধুমাত্র একাডেমিক পড়াশোনায় ছাত্রের প্রকৃত সক্ষমতা প্রকাশ পায় না, তাই এই আয়োজনের মাধ্যমে সেটি উন্মোচন করা হবে।"
তিনি আরও বলেন,"আমরা বদ্ধপরিকর, প্রতিবছর এই আয়োজন করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিতর্ক দক্ষতা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা আরও শাণিত করব।"
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বিতর্কের বর্তমান অবস্থান নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে দিপ্ত বলেন,
"আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাতে চাই, বিতর্ককে আমাদের আরও গুরুত্ব দিতে হবে। বিতর্ক এমন একটি মাধ্যম, যার মাধ্যমে কোনো বিষয়ের ভালো ও মন্দ দিক বিশ্লেষণ করা সম্ভব এবং একজন ব্যক্তি সচেতন হতে পারে যে, সেই বিষয়টি তার জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমাদের বিতর্ক চর্চা এখনো পিছিয়ে। এটিকে আরও বড় পরিসরে আয়োজন, প্রচার ও প্রসারের জন্য আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।"
বিবিএ বিভাগের শিক্ষার্থী সানি বলেন,
"বিতর্ক কেবল প্রতিযোগিতা নয়, এটি চিন্তার সীমানা প্রসারিত করার একটি মাধ্যম। এখানে যুক্তি দিয়ে লড়াই করতে হয়, যেখানে আবেগ নয়, তথ্য ও বিশ্লেষণই মুখ্য। ড্যাফডিলের এই আয়োজন আমাদের যুক্তি ও আত্মবিশ্বাসকে আরও শাণিত করেছে।আমি আশা করবো, ভার্সি ও হল কতৃপক্ষ আরও বেশি বেশি এমন সহশিক্ষা কার্যক্রম গুলো আয়োজন "
বিতর্ক দেখতে আসা সিএসই দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী নাইম জানান, "বিতর্ক প্রতিযোগিতা মানেই এক অনন্য বুদ্ধির লড়াই! এখানে প্রতিটি শব্দ ও যুক্তি গুরুত্বপূর্ণ। আজকের প্রতিযোগিতায় আমার রুমমিট বড় ভাই অংশগ্রহণ করায় দেখতে আসা। অংশগ্রহণকারীদের উপস্থাপনা এতটাই চমৎকার ছিল যে, এক মুহূর্তের জন্যও মনোযোগ হারানোর সুযোগ পাইনি। তা দেখে আমারও ভবিষ্যতে অংশগ্রহণের অনুপ্রেরণা জোগায়।"